• ২ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৯ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

DYFI

রাজ্য

অডিও ক্লিপ কাণ্ডে আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য, সিপিএমের যুবনেতা কলতানের জামিন

অডিও ক্লিপ কাণ্ডে আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সিপিএম যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তের জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার দীর্ঘক্ষণ শুনানির পর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ বাম যুবনেতাকে ৫০০ টাকার বন্ডে জামিন দেয়। আদালতের নির্দেশ, আদালতের অনুমতি ছাড়া এই সংক্রান্ত মামলায় কলতানকে গ্রেফতার করা যাবে না। হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। এদিন আদালত পুলিশকে প্রশ্ন করে, ফোনে কথোপকথনের যে রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে কলতানকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটি কোথা থেকে পেল পুলিশ। কোথা থেকে এই অডিও রেকর্ডিং এল তা খোঁজ নিয়েছে কি পুলিশ। উত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, কলতান না বলেননি। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ জানতে চান, যে পেনড্রাইভ পুলিশের কাছে এসেছে এবং যেখান থেকে এসেছে সেই সোর্সকে কি জেরা করা হয়েছে?বিচারপতি এদিন আরও প্রশ্ন করেন, কলতানকে গ্রেফতার করার আগেই একজন রাজনীতিবিদ (তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ) কী করে অডিও ক্লিপের বিষয়টি সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন। সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে একটানা ধরনা-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ডাক্তারদের সেই ধরনায় হামলার ছক কষা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। রাজ্য সরকার ও শাসকদলকে অপদস্থ করতেই বিরোধীরা এই হামলার ছক কষেছিল বলে দাবি করেছিলেন কুণাল। সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেতা। কুণালের দাবি ছিল, ফোনের এক পাশে যিনি রয়েছেন তাঁর নামের প্রথম অক্ষর স, ফোনের অন্য পারে থাকা ব্যক্তির নামের প্রথম অক্ষর ক।কুণালের এমন বিস্ফোরক অভিযোগের পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গত ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা সঞ্জীব দাস নামে একজনকে। পরদিনই গ্রেফতার সিপিএমের যুবনেতা কলতান দাশগুপ্ত। DYFI-এর মুখপাত্রের সম্পাদক কলতান। কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য এই তরুণ নেতা।এদিন আদালতে রাজ্য জানায়, গত ৫ মাসে কলতান এবং সঞ্জীবের মধ্যে ১৭১ বার ফোনে কথা হয়েছে। ৬ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩৪ বার কথা হয়েছে। আদালতে রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, এই ঘটনায় কলতান কৃষ্ণ এবং সঞ্জীব অর্জুনের ভূমিকা পালন করেছেন। মাথা ফাটানোর প্রশ্নের উত্তরে না বলেননি কলতান। সাহেব, বাপ্পা এবং দাদুকে খুঁজে বের করে আরও জেরা করা প্রয়োজন।দুপক্ষের শুনানির পর এদিন রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। পরে কলতানকে ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয় হাইকোর্ট। আদালতের অনুমতি ছাড়া এই সংক্রান্ত মামলায় কলতানকে গ্রেফতার করা যাবে না।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
রাজ্য

আরজি কর মেডিক্যালে ভাংচুর নিয়ে এবার তলব মীনাক্ষীসহ সিপিএমের ৭ ছাত্র-যুব নেতা

আরজি কর হাসপাতালে ভাংচুরের ঘটনায় এবার তলব করা হল ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ সাত জনকে। তলব করল লালবাজারের গুণ্ডা দমন শাখা। যে সাত জনকে তলব করা হয়েছে তাদের আজ ও আগামীকাল হাজিরার জন্য বলা হয়েছে।উল্লেখ্য আরজি কর হাসপাতালে ভাংচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাংচুরের দিন আরজি করের মূল গেটের উল্টোদিকে একটি মঞ্চ পাতা হয়েছিল। ভাংচুরের ঘটনায় সময় সেখানে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মী সমর্থকরা ছিল বলে দাবি লালবাজারের।জানা গিয়েছে, পুলিশ আধিকারিকরা বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। মূলত জানতে চাওয়া হতে পারে, যারা তান্ডব চালিয়েছেন তাদের সঙ্গে DYFI-SFI-র কর্মী-সমর্থকরা কোনওভাবে জড়িত কিনা। পাশাপাশি জানতে চাওয়া হতে পারে যদি হামলাকারীদের সঙ্গে তাদের কোন যোজসাজশ না থাকে তাহলে কেন হাতে DYFI-র পতাকা নিয়ে তাদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছিল?আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুন কাণ্ডে উত্তাল সারা বাংলা। ইতিমধ্যেই মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। গতকাল টানা প্রশ্নবাণের পর আজ সকালে ফের তাঁকে ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। শনিবার সকালে অ্যাপ ক্যাবে চেপে সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে পৌঁছোন সন্দীপ ঘোষ। এখনও চলছে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।

আগস্ট ১৭, ২০২৪
রাজ্য

ভাইপোকে নজিরবিহীন কটাক্ষ সেলিমের, ভাষন শুনলেন বিমান, সূর্যকান্তরা

লোকসভা ভোটের আগে রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশকে কার্যত অ্যাসিড টেস্টের মতোই ধরেছিল সিপিআইএম। ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে ২০০৮ সালের পর এটাই ছিল প্রথম ব্রিগেড সমাবেশ। ১৫ বছর পর ব্রিগেডে আজ সভা করল ডিওয়াইএফআই। দলের যুবদের ভাষণ মঞ্চের নীচে বসে শুনলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা।মীনাক্ষীর পর রবিবাসরীয় ব্রিগেডের মঞ্চে বক্তা ছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ডিওয়াইএফআইয়ের প্রাক্তন এই নেতা স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই শুরু থেকেই তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানাতে থাকেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। নতুন শকুনির কাছে বাংলার কৃষ্টিকে বাজি ধরেছেন মমতা, মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ শানিয়ে ঝাঝালো সুর সেলিমের গলায়। রাজ্য সিপিএমের শীর্ষ নেতার তুমুল কটাক্ষ থেকে বাদ পড়েননি সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভাইপো নয়, ওটাকে ডেঁপো বলাই ভালো, ভরা মঞ্চে যারপরনাই টিপ্পনি সেলিমের।কী বললেন সেলিম? *১০০ দিনের কাজের টাকা নেই। পঞ্চায়েত ভোটে বললেন দিল্লি থেকে নিয়ে আসব।*কত খেলো, কত নিল বাংলার মানুষকে দেখাতে হবে।*সংসদে মোদী বলেছিলেন গর্ত খোঁড়ার কাজ। ভাতা বন্ধ করার কথা বলেছিলেন।*দিল্লি পারবে না, বাংলাকে বাঁচাতে এককাট্টা হোন।*যাঁরা চুরি করছে, রাজ্যের মানুষ তাঁদের শাস্তি চাইছে। যৌবনকে দেখে বলছে, তোমরা পারবে।*৫৬ নয়, ৩৫৬ নয়, মুষ্টিবদ্ধ হাত আপনারা যদি আকাশের দিকে তুলে ধরেন, মাথা উঁচু করে শপথ নেন, বাংলাকে বাঁচাতে, আমাদের শিল্প, কৃষ্টি, ঘর, মা-বোনদের ইজ্জত, ঐতিহ্য, ইতিহাস রক্ষার জন্য যদি এককাট্টা হন, কোনও দিল্লি পারবে না।*ভাইপো নয়। ভেঁপো। তার চেয়ে ডেঁপো বলাই ভালো। যখন সব বেঞ্চ বলল কিছু হবে না, তখন, তিনি চলে গেলেন দিল্লি। বললেন, দাদা পায়ে পড়ি রে, ভাইপোটাকে বাঁচা।*মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাউকে দেখবেন না।*পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও ফোন করেছিলেন। উনি ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন।*তৃণমূলকর্মীদের বলছি, ওরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাদের তুলবে। একটার পর একটা আইপিএস-এর অবসরের পরেও পুষছে।*চুরি দেখে রেগে যাচ্ছে রাজ্যের মানুষ। রেশন আইসিডিএস, চাকরির টাকা চুরি করছে। যারা মনে করেছিল নবান্নের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে ৫৬ লাগবে। বামপন্থীরা বলেন ৫৬ নয় জনগণ পারেন এই সিস্টেম বদলাতে।

জানুয়ারি ০৮, ২০২৪
রাজ্য

‘জাতের নামে বজ্জাতি’র বিরুদ্ধে বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতি মাধ্যমে সুস্থ পৃথিবী গড়তে ফুটবলের মাঠে এসএফআই

আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে খেলা হবে স্লোগান সামনে রেখে রে রে করে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বস্তবের ফুটবল মাঠে সত্যি সত্যি বল পায়ে খেলতে নেমে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবল প্রতিপক্ষ সিপিএম-এর ছাত্র যুব সংগঠন। বিশ্বকাপকে ঘিরে উন্মাদনায় মাতলো এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই।সম্প্রীতির ফুটবল খেলা হল বর্ধমানে। ভারত কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে প্রতিনিধিত্ব না করলেও বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছে বাংলা সহ সারা ভারত। কাতারে যখন ধর্মীয় ফতোয়া, ধর্ম,বর্ণ বিশেষে বিভাজন চলছে, ঠিক তখনই বর্ধমানে রাজপথে সম্প্রীতির বর্ণময় মিছিল করলো এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই।বর্ধমানের মিউনিসিপ্যাল হাইস্কুল মাঠে হল সম্প্রীতির ফুটবল ম্যাচ। বর্ণময় মিছিলে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, স্পেন সহ বিভিন্ন দেশের জার্সি ছিল বাম ছাত্র ও যুবদের গায়ে। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী জানান আমাদের দেশে ধর্ম নিয়ে বিভাজন চলছে, কাতারে চলছে ফতোয়া, চলছে লিঙ্গ বৈষম্য। আমরা সারা বিশ্বকে এই বার্তা দিতে চাইছি না ধর্ম, না বর্ণ, না লিঙ্গ বৈষম্য, না রাজনীতি। চাই ঐক্য ও সম্প্রীতির বিশ্ব।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২২
রাজনীতি

ধর্মতলায় ডিওয়াইএফআই এর অনুমতিহীন সভা ঘিরে চাঞ্চল্য

ভারতের গণতান্ত্রিক ছাত্র ফেডারেশনের (ডিওয়াইএফআই) ধর্মতলা অভিযানের ডাকে সারা দিতে ইসলামপুর আলুয়াবাড়ি রোড জংশন স্টেশন থেকে কর্মী সমর্থকরা সোমবার ট্রেনে চেপে ধর্মতলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। ডিওয়াইএফআই নেতা গৌতম বর্মন ও সামী খান জানান আনিস খানের ইনসাফ সবাই যোগদানের জন্য তারা যাচ্ছেন। কলকাতার ধর্মতলায় সেখানে উপস্থিত থাকবেন বামফ্রন্টের রাজ্য সভাপতি মঃ সেলিম ও ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখার্জী সহ একাধিক নেতৃত্ব। উলেখ্য ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে এই সভার কোনও অনুমতি কলকাতা পুলিসের তরফের দেওয়া হয়নি। অনুমতিহীন এই সভা ঘিরে আবার কলকাতায় গোলমালের আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
রাজনীতি

অতীতে টেকনোলজি কে দূরে সরানো বামেদের ভরসা 'কিউআর (QR) কোড'

সদস্য সংখ্যা বাড়াতে বিজেপির মতো বামেরাও শরণাপন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মে। মিসড কলের মাধ্যমে বিজেপি তাদের পার্টির সদস্যা সংখ্যা বাড়ানোর কৌশল নিয়েছিল। আর এবার সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই কিউ আর (QR) কোড মাধ্যমে তাদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ওই পথেই হাঁটলো। কটাক্ষ করে টিএমসিপি নেতারা বলছেন,বামেরা হল বিজেপির ভাব শিষ্য। তাই সংগঠন তৈরির কায়দা কানুনও তাদের একইরকম হবে,এটাই স্বাভাবিক।২১ শের বিধানসভা ভোটে শূন্য হয়ে গেলেও হাল ছাড়েতে নারাজ সিপিএম নেতৃত্ব। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট ও ২৪-র লোকসভা ভোটে ঘুরে দাঁড়াতে তারা এখন থেকেই মরিয়া হয়ে রাজনীতির ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। দলের হয়ে বড় ভূমিকা পালনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই (DYFI) ও ছাত্র সংগঠন এসএফআই (SFI)। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জনমত সংঘটিত করার জন্য এসএফআই তাদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর উপর বিশেষ জোর দিয়েছে। এসএফআইয়ের সদস্য হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা পোস্টারও তৈরি করেছে। সেই পোস্টারেই এখন ছয়লাপ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর সহ গোটা জেলার বাজার, হাট,বাসস্ট্যাণ্ড চত্ত্বর। ওই পোস্টারে বড় বড় অক্ষরে আবেদন জানিয়ে লেখা রয়েছে, এসএফআই (SFI) এর সদস্য হও। তার ঠিক নিচেই দেওয়া রয়েছে একটি কুইক রেসপন্স কোড । সেই কোডের নিচে আবার লেখা রয়েছে, স্ক্যান কিউ আর (QR) কোড- জয়েন এসএফআই। আর এই পোস্টার ঘিরেই শুরু হয়ে গিয়েছে শাসক বিরোধী তর্জা।এসএফআইয়ের জেলা কমিটির সদস্য তথা জামালপুর ব্লকের এসএফআই সম্পাদক নীলকমল পাল বলেন, হ্যাঁ-কিউআর (QR) কোড দেওয়া পোস্টারের মাধ্যমে আমরা এসএফআইয়ের সদস্য হওয়ারই আহ্বান জানিয়েছি। কারণ আমরা পথেও আছি, হেঁটেও আছি নেটেও আছি। আমরাই ছাত্র বিরোধী নয়া শিক্ষা নীতি,ক্যাম্পাসে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবি সহ রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছি। সেই লড়াইয়ের সাথী হওয়ার জন্য সবাইকে কিউআর (QR) কোড স্ক্যান করে এসএফআইয়ের সদস্য হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সদস্য বাড়ানোর এই পন্থাকে বিজেপির অনুকরণ বলে মানতে চান নি নীলকমল। উল্টে তিনি দাবি করেন, বিজেপি পার্টিটাই সম্পূর্ণ ভাবে মিস কলের মাধ্যমে চলে। কিন্তু ,সেই পথে বামেরা হাঁটে না।সদস্য সংখ্যা বাড়ানো জন্য এসএফআইয়ের কিউআর কোড ব্যবহারের কৌশলকে বিলম্বিত বোধদয় বলে কটাক্ষ করেছেন, জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বাম আমলে সিপিএম ও তাদের সমস্ত শাখা সংগঠন কম্পিউটার সহ ডিজিটাল মাধ্যমেরই বিরোধীতা করে গেছে। একমাত্র কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দেশে ডিজিটাল ব্যবস্থাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। আর এখন সেই বামেরাই নকল করছে বিজেপিকে। মিস কলের মাধ্যমে বিজেপি সদস্য সংগ্রহের পন্থা নিয়েছিল। সেটকেই অনুসরনণ করে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই এখন ডিজিটাল কিউআর (QR) কোড মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। রামকৃষ্ণ এও বলেন, এইসব করে বামেরা লাভের লাভ কছু করতে পারবে না বলে তিনি মনে করেন না।সংগঠনের সদস্য বাড়ানোর এইসব ডিজিটাল পন্থা অবলম্বন নিয়ে বাম ও বিজেপি দুপক্ষকেই কটাক্ষ করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) জেলা সভাপতি সেখ সাদ্দাম। তিনি দাবি করেন, বামেরা হল বিজেপির ভাব শিষ্য। দুটো দলই জন বিচ্ছিন্ন। তাই সংগঠন তৈরির কায়দা কানুনও এই দুই দলের একইরকম হবে, এটাই স্বাভাবিক। তৃণমূল কংগ্রেস দল ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ মানুষের মাঝে থেকে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলে বলেই মিস কল বা কিউআর (QR) কোড মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহের প্রয়োজন হয় না।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
রাজনীতি

'অর্পিতা, মোনালিসা, সুকণ্যারাই রিয়েল কন্যাশ্রী'- মীনাক্ষী

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাধা দিলে তীব্র প্রতিবাদ হবে। ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডা নিয়ে যাবে বলে শাষকদলকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি। সোমবার বর্ধমানে একটি মিছিল হয় ডিওয়াইএফআইয়ের। বর্ধমান স্টেশন থেকে মিছিল শুরু হয়ে কার্জনগেট চত্বরে শেষ হয়ে জমায়েত হয়। সেখানে সভায় উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখার্জি। তিনি বলেন, এখন আর কোনও পোস্টারে সততার প্রতিক লেখা নেই। কারণ তৃণমূল নেতারা একে একে জেলে যাচ্ছে দুর্নীতির দায়ে। ইডি ও সিবিআই আধিকারিকরা তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করছেন। তাদের একাউন্টেও বহু টাকার হদিস পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।তিনি বলেন, এখন রাজ্যে চাকরি পেতে মেধা লাগেনা, যোগ্যতা লাগেনা, অর্পিতা লাগে- পার্থ লাগে। অর্পিতা, মোনালিসা, সুকণ্যারাই রিয়েল কন্যাশ্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইদ্যুতে এইভাবেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তিনি।সোমবার বিকালে স্বাধীনতা বাঁচাও, কাজের অধিকার দাও এই দাবীতে বর্ধমান ষ্টেশন থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি। কার্জনগেট পর্যন্ত এই মিছিলের সামনে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। স্বপ্ন দেখলাম আর রাজারাণীর মুর্তি এনে কার্জনগেটে বসিয়ে দিলাম, এইভাবে স্বাধীনতা আসেনি। সেই স্বাধীনতা, দেশের গণতন্ত্র, সংবিধানের অধিকার আজ নষ্ট হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজেপির ভূমিকা নেই। হিন্দু মুসলমান, শিখ, খ্রিষ্টানরা লড়াই করে স্বাধীনতা এনেছে।মীনাক্ষী বলেন, আমরা অনুব্রত নিয়ে কিছু বলবো না। কারণ, গরু চোর নিয়ে আমরা কেন কিছু বলবো? শুধু এটা বলবো, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অনুব্রতরা তাঁর মেয়ের ভবিষ্যৎ, চিন্তা ভাবনাকে নষ্ট করেছে। তাঁকে বোঝানো হয়েছে চাকরি পেতে গেলে দিদি ও টাকা লাগে-পার্থ-ও লাগে আর তাঁর বান্ধবী অর্পিতা লাগে। এরাই রিয়েল কন্যাশ্রী। পাশাপাশি, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে যে স্কুলে চাকরি করত, সেই স্কুলের পরিচালনা সমিতি, প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, শিক্ষা, রেল, ডাক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শূন্য পদ রয়েছে। কিন্তু মেধা বঞ্চিত হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার মিথ্যে মামলা দিয়ে বামপন্থীদের গ্রেফতার করে রেখেছে। কিন্তু ২১৮ দিন হয়ে গেলেও আনিশ খানের খুনিরা সাজা পায়না। তাই আমরা ২১৮টা সভা করব। চোরদের জেলে ভরার সভা। চোরদের বিরুদ্ধে এক কোটি সই সংগ্রহ করা হবে। কর্মসূচীতে কোনও বাধা মানা হবে না। পাশাপাশি শাসকদলের হয়ে কাজ করা পুলিশদেরও সতর্ক করেন তিনি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর্নীতি, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের দূরশিক্ষা তুলে দেওয়া। কাজের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিচারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার আহ্বান জানান মীনাক্ষী।

আগস্ট ২২, ২০২২
রাজ্য

আনিসের মৃত্যুর ছায়া বর্ধমানে, তুহিনার মৃত্যু নিয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতিতে কংগ্রেস ও বামেরা

পুর ভোটের ফল প্রকাশের পরেই গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে মরতে হবে তিন বোনকে। পুর ভোটের আচরণবিধি জারি থাকার সময়েই শহর বর্ধমানের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ালে আঁকা হয় হুমকি বার্তা দেওয়া এমন এক নজিরবিহীন ছবি। ওই ছবি আঁকানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল প্রার্থী শেখ বসির আহমেদ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা পুলিশ, কারও তরফেই পুর ভোটের ফল প্রকাশের দিন পর্যন্ত ওই ছবি মোছানোর কোন উদ্যেগ নেওয়া হয়নি। তাই ওই ছবি এলাকায় দেওয়ালে রয়েই যায়। আর আঁকানো ছবির হুমকি মতোই কাণ্ড ২ মার্চ ঘটে শহর বর্ধমানের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুরবাগ নতুনপল্লী এলাকায়। পুর ভোটের ফল প্রকাশের পরেই বিকালে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সেখানকার তৃণমূল সমর্থক পরিবারের কলেজ ছাত্রী তুহিনা খাতুনের(১৭) ঝুলন্ত দেহ। বাড়িতে চড়াও হয়ে হুমকি শাসানি দিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত কারার অভিযোগ উঠেছে সদ্য নির্বাচিত ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার শেখ বসির আহমেদ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আর তুহিনার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা এখন আমতার ছাত্র নেতা আনিসকে খুনের ঘটনার মতোই তোলপাড় ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।বর্ধমান রাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তুহিনার খাতুনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে শুক্রবার বর্ধমানের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধামান জেলা সভাপতি বিশ্বরুপ হাজরা। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন পুর ভোটের ফল প্রকাশের পরেই শাসক দলের রাজনৈতিক হিংসা ও অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ছাত্রী তুহিনা আত্মঘাতী হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি জারি থাকার মধেও তুহিনাদের বাড়ির ঠিক আগের একটি দেওয়ালে ছবি আঁকা হয় তিনটি মেয়ের দেহ ঝুলছে। এই ঘটনা অমানবিক ও আদিম হিংস্রতার চরম প্রকাশ বলে এসএফআই মনে করে। পুলিশের নির্দেশ পাওয়ার পরেও ওই এলাকার তৃণমূল প্রার্থী দেওয়াল লিখন মোছেননি। আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যু যেমন দুর্ভাগ্যজনক তেমনই দু্ঃখজনক। তাই তুহিনার মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও এসএফআই বৃহত্তর প্রতিবাদ আন্দোলনে নামবে বলে বিশ্বরুপ হাজরা এদিন জানিয়ে দেন। তুহিনার মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে এদিন বিকালে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই ও গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সদস্যরা বর্ধমান থানার সামনে ধরনায় বসেন। তুহিনার মৃত্যুর ঘটনায় সকল দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করেন এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক অনির্বাণ হাজরা।এসএফআইয়ের মতোই কংগ্রেস দলের নেতৃত্বও তুহিনা খাতুনের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি নেপাল মাহাতো এদিন জেলা কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বাবুরবাগে আত্মঘাতী কলেজ ছাত্রী তুহিনা খাতুনের বাড়িতে যান। তিনি তুহিনার পরিবারের সদস্যদের মুখে দেওয়ালে হুমকি দেওয়া ছবি আঁকা ও ঘটনার দিনের কথা শুনে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান। কংগ্রেস নেতাদের কাছে তৃণমূল কাউন্সিলার বসির আহমেদ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তুহিনার পরিবার। এখনও বসির আহমেদ হুমকি দিচ্ছে বলে তারা কংগ্রেস নেতাদের কাছে অভিযোগে জানান। সব শুনে নেপাল বাবু জানান, ভোটের সময়ে ছবি এঁকে হুমকি দিয়ে এই ধরনের দেওয়াল লেখা চরম থেকে চরমতম অপরাধ। এটা একটা নক্কারজনক ঘটনা। নির্বাচন চলাকালীন এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকে। নির্বাচন কমিশন চেষ্টা করেও এই ছবি মুছতে পারেনি। এর দ্বারাই বোঝা যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কতটা। পুলিশ গোটা বিষয়টিকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে বলেও নেপালবাবু অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে নেপাল মাহাতো জানিয়ে দেন, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে প্রয়োজনে তাঁরা আইনি লড়াই লড়বেন। যদিও বসির আহমেদ এদিন বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। প্রয়োজনে সিআইডি দিয়ে ঘটনার তদন্ত হোক। তিনি চান আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসুক।তিন তরুণী গাছে ঝুলছে এমন ছবি পুর ভোটের আচরণবিধি জারি থাকার সময়ে যাঁরা ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়ালে আঁকালো তাদের বিরুদ্ধে কি নির্বাচন কমিশন আইনগত কোন ব্যবস্থা নিয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে বর্ধমান সদর মহকুমা শাসক তথা পুর নির্বাচনী আধিকারিক তীর্থাঙ্কর বিশ্বাস বলেন, এই সংক্রান্ত বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমার কাছে কোন অভিযোগও আসেনি। তবে এই প্রসঙ্গে ডি এসপি (সদর) অতনু ঘোষাল বলেন, মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা মিললে দোষীরা কেউ ছাড় পাবে না ।

মার্চ ০৪, ২০২২
কলকাতা

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শর্ত পেশ মইদুলের স্ত্রীর, উত্তপ্ত মৌলালি

নবান্ন অভিযানে ডিওয়াইএফআই নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক দূরত্ব ভুলে এদিন মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্তানহারা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে চাকরি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে নিলেও চাকরির জন্য শর্ত রাখলেন মৃত ডিওয়াইএফআই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার স্ত্রী আলেয়া বিবি। সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, দোষীদের শাস্তি চাই।এদিকে, বামকর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মৌলালি। সংঘর্ষে জড়াল পুলিশ ডিওয়াইএফআই-এসএফআই, ছিঁড়ল পুলিশের উর্দি। ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এজেসি বোস রোড। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে পরিস্থিতি। তবে এখনও থমথমে এলাকা। মইনুলের দেহ মৌলালিতে পৌঁছনোর অপেক্ষায় বাম ছাত্র-যুবরা। কোতলপুরের চোরকোলা গ্রামের বাসিন্দা মইদুল ইসলাম মিদ্দা। পেশায় অটো-টোটো চালক। দিনপাত করে অটো, টোটো কিনেছিলেন তিনি। সেই গাড়ি চালিয়েই পরিবার পাঁচ সদস্যের পেট চালাতেন মিদ্দা। পরিবারে রয়েছেন মিদ্দার মা, স্ত্রী আলিয়া বিবি, দুই সন্তান ও এক ভাগ্নি। তিনিই ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য। আপাতত মিদ্দাকে হারিয়ে পথে বসেছে পরিবার। সন্তানহারা মা বলছেন, একমাত্র সন্তানকে হারিয়েছি। কীভাবে পরিবার চলবে জানি না।; স্বামীকে হারিয়ে দিশাহারা আলে্য়া বিবিও। স্বামীর খুনের দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। সঙ্গে জানিয়েছেন, অল্প পয়সার চাকরি দিলে চলবে না। পরিবারের সদস্যদের প্রতিপালন করার মতো চাকরি দিতে হবে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মিদ্দা রাজনীতি করতেন। তবে সম্প্রতি বাম রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। তার পরই শুক্রবার নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে আহত বাম ছাত্রনেতার মৃত্যু, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
কলকাতা

নবান্ন অভিযানে আহত বাম ছাত্রনেতার মৃত্যু, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন

নবান্ন অভিযানে আহত বাম যুবনেতার মৃত্যু। সোমবার সকালে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় ডিওয়াইএফআই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্দার। ১১ ফেব্রুয়ারি বাম সংগঠনগুলির নবান্ন অভিযান চলাকালীন পুলিশের লাঠির ঘায়ে গুরুতর আহত হয়ছিলেন ওই যুবনেতা। এদিকে বাম কর্মীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই গর্জে উঠেছে বাম ছাত্র-যুবরা। নবান্ন অভিযানে ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মীকে পুলিশ ইচ্ছা করে খুন করেছে বলেই দাবি করেছেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কাজ চাইতে গিয়ে আমাদের কমরেডকে খুন করেছে তৃণমূল সরকারের পুলিশ। এই ঘটনার ধিক্কার জানাই। এই হত্যার বিচার চাই। পরবর্তী ক্ষেত্রে আমরা কী ধরনের কর্মসূচি নেব তা নিয়ে শীঘ্রই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।হাসপাতাল সূত্রে খবর, পুলিশের প্রচণ্ড মারে মইদুলের শরীরের একাধিক মাংসপেশিতে গুরুতর আঘাত লাগে। পেটে ও পিঠে ভয়ংকর আঘাত পান তিনি। ফলে তাঁর কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। যার ফলে চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যু হয় বাঁকুড়ার কোতলপুরের বাসিন্দা মইদুলের। এই ঘটনা তীব্র প্রতিক্রিয়া বাম নেতৃত্বের। মানবাধিকার কমিশনে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। এই বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মৃত্যু নয়, এটা খুন। সরকার ইতরতার সীমা ছাড়িয়েছে। এই বাচ্চা ছেলেটকে কীভাবে মেরেছে। সরকার ভয় পেয়েছে। তাঁর বুকে, পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করেছে পুলিশ। চিকিৎসক চাপের মুখে সবটা বলতে পারছেন না। সিপিএম নেতা ফুয়াদ হালিমের অভিযোগ, পুলিশ মাথা ও বুক লক্ষ্য করেই লাঠি চালিয়েছে। সিপিআইএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি জানিয়েছেন, বাঁকুড়া জেলা পার্টি অফিসে এই বিষয়ে বেলা ১১ টার সময় একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য।এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রাক্তন বাম যুব নেতা জামির মোল্লা বলেন, এই মৃত্যুতে আজ সমস্ত থানায় বিক্ষোভ-অবস্থান থাকবে। এটা এটা মর্মান্তিক বিষয়। কাজ নেই, চাকরি নেই সেই বিচার চাইতে গিয়ে মেরে ফেলা হল। এটা তো প্রশাসন-সরকার খুন করল। বেকার যুবদের কাজ চাওয়ার অভিযোগকে বঞ্চিত হচ্ছে। নিজেদের দাবি রাখলে যদি পুলিশের হাতে এবার মৃত্যুবরণ করতে হয়, তাহলে এ সরকারের এক মুহুর্ত আর থাকার কোনও অধিকার নেই।উল্লেখ্য, এর আগে নবান্ন অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া বাহারপোতা গ্রামের এক বামকর্মী। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও যুবকের সন্ধান পায়নি পরিবার। এবার এক যুবনেতার মৃত্যুতে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে পুলিশ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে অত্যধিক বলপ্রয়োগের অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে সমাজের একটা বড় অংশ। প্রসঙ্গত, চাকরি, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন। সেখানেই পুলিশ ও বামকর্মীদের মধ্যে তীব্রই সংঘাত শুরু হয়। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। ওই ধুন্ধুমার পরিস্থিতিতে আহত হন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী ও পুলিশকর্মী।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
রাজ্য

কয়েক দফা দাবিতে হাওড়া কর্পোরেশনে স্মারকলিপি প্রদান ডিওয়াইএফআইয়ের

হাওড়ায় পুর পরিষেবার হাল ফেরানো ও শূন্যপদে অবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি সহ কয়েক দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়া কর্পোরেশন অভিযান করল বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই। এদিন শতাধিক ডিওয়াইএফআই কর্মী- সমর্থক জেলা যুব কার্য্যালয়ের সামনে জমায়েত হন। সেখান থেকে মিছিল করে এসে পৌঁছন হাওড়া ময়দান চত্বরে। আরও পড়ুনঃ আমি ভালো আছি , মৃত্যুর গুজবে বিরক্ত হয়ে জানালেন রেজ্জাক সেখানে পুলিশ মিছিল আটকানোর চেষ্টা করলে ডিওয়াইএফআই কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে পুরসভা ভবনের মূল গেটের সামনে চলে আসেন। সেখানে পুলিশ তাদের বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। পুরসভার বন্ধ মূল ফটকে উঠে পড়েন কিছু সমর্থক। পরে ডিওয়াইএফআই -এর চার জনের এক প্রতিনিধি দল পুরসভায় এসে ডেপুটেশন জমা দেন।

অক্টোবর ১৫, ২০২০

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

১০০ দিনের কাজ নিয়ে হাইকোর্টে বড় ধাক্কা কেন্দ্রীয় সরকারকে

গতকালই ওবিসি মামলায় হাইকোর্টে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বড় ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার নজিরবিহীন একটি নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পশ্চিমবঙ্গে ফের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প চালু করতে হবে, এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ।উল্লেখ্য, বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা বহুদিন ধরে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ করে আসছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বারবার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লাগামহীন দুর্নীতি হয়েছে। এই দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি দলও বাংলার জেলায় জেলায় পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী আদালতে জানিয়েছিলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়েছে।। তার মধ্যে ২ কোটিরও বেশি টাকা পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে। হুগলি, মালদা, বর্ধমান, দার্জিলিংয়ের মতো জেলাগুলিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে টাকা বন্টনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে বেনজির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রের।রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে মামলার শুনানি বুধবার ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনেছেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এরপর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই বিশেষ কোনও বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই রায়ের পর সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ১০০ দিনের পুরনো বকেয়া টাকা ফেরত দিতে হবে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর

পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর এবং সালিশি করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবার কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হলেও চারদিন পরে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বুধবার ওই ব্যবসায়ী দম্পতি সমস্ত ঘটনার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। এদিকে কালিয়াচকের ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণ এবং পাঁচ লক্ষ টাকা তোলাবাজির ঘটনায় রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার সর্ববৃহৎ ব্যবসায়ীদের সংগঠন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বারবার যদি ব্যবসায়ীদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলা নেমে আসে, তাহলে আমরা যাব কোথায়। অবিলম্বে পুলিশ সুপার যাতে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে, সেই আবেদন জানাচ্ছি। এদিকে পুলিশকে অভিযোগে কালিয়াচক থানার ফতেখানি এলাকার পোশাক ব্যবসায়ী মহম্মদ রহিম বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরনো একটি মামলার ঘটনায় গত শনিবার এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী জহরুল খান এবং তার দলবল তাকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের একটি ডেরায় তাঁকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয়। এরপর পাঁচ লক্ষ টাকার তোলা চাওয়া হয়। সেই টাকা না দেওয়ায় আশেপাশের আরও কিছু সাগরেদদের জুটিয়ে সালিশি ডাকা হয়। সেই সালিশির মাধ্যমে তাদের পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনার পর থেকেই গত চারদিন ধরেই ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন হয়ে রয়েছেন। এমনকি ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে ওই ব্যবসায়ী তার নিজের পোশাকে শোরুম খুলতে পারছেন না।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ভাগীরথী সেতুতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, লরির চাকায় পিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু রোগীর

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ভাগীরথী সেতুর উপর ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বুধবার দুপুরে চলন্ত লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মৃতের নাম হরেন মণ্ডল (৬৩)। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।জানা গিয়েছে, বুধবার সকালেই অসুস্থতা জনিত কারণে হরেন মণ্ডলকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ। দুপুরে বৌমা ফুলতলা বাজারে ফল কিনতে গেলে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও তিনি না ফেরায়, চিন্তায় পড়ে বৃদ্ধ খুঁজতে বের হন। খুঁজতে খুঁজতে উঠে পড়েন ভাগীরথী সেতুর উপর। সেই সময় এক চলন্ত লরির সামনে পড়ে যান তিনি। অসাবধানতাবশত লরির চাকায় পিষ্ট হন হরেন মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ও রঘুনাথগঞ্জ সদর ট্রাফিক গার্ড। কিছু সময়ের জন্য সেতুর উপর যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কী, লরি চালকের গাফিলতি ছিল কিনাতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর এমন মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরেও কি ভাবে রাজ্য সড়কে পৌছালো ঐ রুগী তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে একলাবাসীর মধ্যে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজ্য

রায়নার বিধায়কের কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভাতেই বিধায়ক শম্পা ধারা কন্যা সন্তান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হাজির হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক শম্পা ধারার শিশু কন্যার নাম রাখেন ঐশী। আশাপূরণ হওয়ায় শম্পা ধারা বেজায় খুশি। মেয়ের অন্নপ্রাসন অনুষ্ঠানের দিনও নির্দিষ্ট করে ফেলেছেন বিধায়ক। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য শম্পা ধারা এদিন মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল বিধায়ককে নিমন্ত্রণও করেন।শম্পা ধারার কন্যার এখন বয়স মাত্র সাড়ে চার মাস। বাংলার অগ্নিকন্যা তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত তাঁর কন্যার নামকরণ করে আশীর্বাদ করুন, এমনটাই স্বপ্ন ছিল রায়নার তৃণমূল বিধায়কের। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষে নিজের শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার দুপুরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে পৌছে যান পূর্ব বর্ধমানের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী ঘর থেকে বের হতেই বিধায়ক শম্পা তাঁর কন্যার নামকরণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেন। নিজের দলের বিধায়কের সেই অনুরোধ ফেরাননি মুখ্যমন্ত্রী।শম্পা ধাড়া জানান, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি তাঁর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। শম্পা ধারার কথা অনুযায়ী নাম করণ করে দেওয়ার পর তাঁর মেয়ের মাথায় হাত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশীর্বাদ করেছেন। এটাই তো তাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। এর জন্য তিনি গর্বিত বোধ করছেন।তাঁর খুব আনন্দও হচ্ছে।

জুন ১৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

কেশরী চ্যাপ্টার টু, ইতিহাস বিকৃত করার ভয়ঙ্কর অভিযোগ

ইতিহাসের একটি পরিচিত অধ্যায় ইংরেজ শাসনের সময় বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস ও প্রফুল্ল চাকী কুখ্যাত ইংরেজ জাজকে বধ করার চেষ্টা করেছিল। এর ভিত্তিতে ক্ষুদিরাম বোসের ফাঁসি হয়েছিল এবং প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য নিজের প্রাণ নিজের হাতে নিয়েছিল। বিধাননগর দক্ষিণ থানাতে অভিযোগ এসেছে যে একটি সিনেমা ইদানিংকালে লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে সিনেমাটির নাম হচ্ছে কেশরী চ্যাপ্টার টু। সেই সিনেমাটি জিও হটস্টারে দেখানো হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সেখানে একটা দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ক্ষুদিরাম বোসের নামকে ক্ষুদিরাম সিং বলা হয়েছে এবং প্রফুল্ল চাকির সেখানে কোন উল্লেখ নেই।বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষের ছোট ভাই বিরেন্দ্র কুমার ঘোষ তিনি ও বিপ্লবী ছিলেন উনার নামটাকে বারিন্দ্রা কুমার বলে বলা হচ্ছে। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক তথ্যগুলোকে বিকৃত করা হয়নি, বরঞ্চ স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা আছেন তাদের নামটাকে বিকৃত করে তাদের গরিমাটাকে কিছুটা হলেও ম্লান করার চেষ্টা হয়েছে এবং করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে একটা কেস করা হয়েছে। এটাও দেখানো হয়েছে খুদিরাম বোস এবং বারিন্দ্র ঘোষ ওনারা অমৃতসরের ছাত্র ছিলেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগটা করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিধান নগর দক্ষিণ থানাতে একটি কেস রুজ করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ভূয়ো কল সেন্টারের পর্দা ফাঁস, বাগুইআটিতে গ্রেফতার ৬

গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বাগুইহাটি থানা অধীনস্ত সৃষ্টি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল এবং পর্দা ফাঁস করে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের। অভিযুক্তরা বিভিন্ন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং কম সুদে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কস্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিতো।স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগের ভিত্তিতে বাগুইআটি থানায় কেস নাম্বার ৩৮২/২০২৫ মামলা রুজু হয়। এই অভিযানে মোট ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে বহু বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ইত্যাদি। এই মামলার তদন্ত চলছে। ধৃতদের আজ আদালতে পেশ করা হলে তাদের প্রত্যেকের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর হয়। মামলার তদন্ত চলছে।

জুন ১৭, ২০২৫
রাজ্য

তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে মমতাবালাকে কটুক্তির অভিযোগ, উপপ্রধানকে গ্রেফতারের দাবি

দলীয় বৈঠক তৃণমূল উপপ্রধানের গালাগাল ও কটুক্তির শিকার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুর। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল কর্মী। সরব হলেন মতুয়া ভক্তরা। পার্থ ভৌমিকের সম্পর্কে কিছু কথা বলার জন্যে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, আর কিছু নয় বলে দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের।একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি সভা ছিল সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গায়। অভিযোগ, সেখানে বক্তব্য রাখার সময় গোপালনগর চৌবেরিয়া ১ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন। এমনকি বৈঠক শেষে মমতা ঠাকুর বাইরে বের হলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে সুনীলসহ আরও কয়েকজন কটুক্তি করে এবং অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গি করে, এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এবং ছোট জাত বলে আক্রমণ করা হয়। এই মর্মে সোমবার রাতে সব্যসাচী ভট্ট নামে এক তৃণমূল কর্মী গাইঘাটা থানায় এফ আই আর দায়ের করেন। অভিযোগ করার সময় সব্যসাচীর সঙ্গে ছিলেন মতুয়া ভক্তরা ও গোসাইরা। অভিযুক্তর গ্রেফতারের দাবি করেন তারা। তারা বলেন, মাকে গালাগালি দেওয়া মানে আমাদের মতুয়া সমাজকে গালি দেওয়া। এটা আমরা কোনওভাবেই মেনে নেব না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে তীব্র প্রতিবাদ হবে।এই বিষয়ে অভিযুক্ত চৌবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল সরকার জানিয়েছেন, মমতা ঠাকুর বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানা কথার মধ্যে দিয়ে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস ও পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করছিল। আমি শুধু প্রতিবাদ করে বলেছি আপনাদের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের বৈঠকে এটা আলোচনা করবেন। আমি যদি উনাকে গালাগাল করে থাকি সেটা প্রমাণ করুক। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদিও বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন, গতকাল একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় চেয়ারম্যান পার্থ ভৌমিক সম্পর্কে কিছু কথা বলাতে কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আর কিছু নয়। তৃণমূলের সভায় মমতা ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে গালাগাল ও জাত তুলে কটুক্তি নিয়ে কটাক্ষ করা প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওদের নেত্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ নিয়ে যা বলেছেন তাতে ছোট নেতা কি বলবে। মমতা ঠাকুর হারিকাঠে গলা দিয়েছে, কি হবে বুঝতে পারছে না। ওর লজ্জা ঘৃণা ভয় কিছু নেই। এই বিষয়ে মমতা ঠাকুরবালার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal